Oxford Mini English to Bengali Dictionary|মিনি ইংরেজি — বাংলা অভিধান Part 4

befuddled /বি: ফড়চ্ছ/ candi. ভ্রমিত, দ্বিধাগ্রস্ত beg/বেগ/ (begging; begged) 1 (আবেগের সঙ্গে) মিনতি, অনুনয়, প্রার্থনা, অনুরোধ 2 দারিদ্র্যের কারণে খাদ্য, অর্থ ইত্যাদি লোকের কাছে ভিক্ষে করা beget/বি’ গেট/ (begetting, begot, begotten) প্রজনন করা, জন্ম দেওয়া beggar/’বেগ্যা (র)/n. ভিখারি, ভিক্ষুক, ভিক্ষোপজীবী begin/বি’গিন (beginning, began, begun) 1 (কোনো কাজ) আরম্ভ করা, শুরু করা 2 ঘটতে আরম্ভ করা, … Read more

নবম অধ্যায় – চৈতন্যজীবনীসাহিত্য

১. সাধারণ আলোচনা ও ঐতিহাসিক গুরুত্ব মধ্যযুগের ধর্মীয় প্রথানুবর্তী কাহিনি কাব্যের মধ্যে চৈতন্যজীবনীমূলক গ্রন্থগুলি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। ভারতীয় সাহিত্যে আগে সংস্কৃত রাজরাজড়াদের স্তাবকতাধর্মী জীবনীসাহিত্য কিছু রচিত হয়েছে। সেইসব গ্রন্থে আর্থসামাজিক জীবনের পরিচয়ও, মেলে। কিন্তু রাজকীয় মহিমার গুণগান করতে গিয়ে কবিরা সাধারণ মানুষের দিকে ফিরে তাকাননি। বিশুদ্ধ মানবিক চেতনা থেকে তখন জীবনীসাহিত্য রচনা করার প্রবণতা কবিদের ছিল … Read more

অষ্টম অধ্যায় সাহিত্যে বাঙালির সমাজ ও চৈতন্যদেবের আবির্ভাবের গুরুত্ব

১. সংক্ষিপ্ত চৈতন্য-জীবনী পঞ্চদশ শতাব্দীর শেষার্ধে (১৪৮৬) বাংলাদেশে মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্যের আবির্ভাব ঐতিহাসিক তাৎপর্যমণ্ডিত এক যুগান্তকারী ঘটনা। মধ্যযুগের এক ক্রান্তিকালে তাঁর আবির্ভাব। মধ্যযুগের বাংলাদেশে তিনি সর্বাপেক্ষা স্মরণীয় বরণীয় ব্যক্তিত্ব। তাঁর আবির্ভাবে বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতি যেমন গতানুগতিকতা থেকে মুক্ত হয়ে নতুন ভাবকল্পনা ও চিন্তাদর্শে সমৃদ্ধ ও বিকশিত হয়েছে, তেমনি বাংলার সমাজজীবনেরও জন্মান্তর, রূপান্তর সাধিত হয়েছে। শ্রীচৈতন্যদেবের … Read more

সপ্তম অধ্যায় – তিন মঙ্গলকাব্যের সংক্ষিপ্ত কাহিনি ও তিন বিশিষ্ট কবি

১. সাধারণ আলোচনা মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের অন্যতম বৃহত্তম শাখা হল আখ্যানমূলক মঙ্গলকাব্য। খ্রিস্টীয় পঞ্চদশ শতক থেকে শুরু করে অষ্টাদশ শতক পর্যন্ত এর কালপর্ব। বাংলার বিভিন্ন অঞ্চলের বহু জ্ঞাত ও অজ্ঞাত, খ্যাত ও স্বল্পখ্যাত কবিরা মনসামঙ্গল, চণ্ডীমণ্ডল, শিবমঙ্গল (শিবায়ণ), ধর্মমঙ্গল ও রায়মঙ্গল প্রভৃতি অজস্র কাব্য রচনা করেছেন। এইসব কাব্যে নানা সাম্প্রদায়িক দেবদেবীর মাহাত্ম্যসূচক কীর্তিকলাপ বর্ণিত হয়েছে। … Read more

ষষ্ঠ অধ্যায় মঙ্গলকাব্য রচনার সামাজিক কারণ ও মঙ্গলকাব্যের সাধারণ বৈশিষ্ট্য

১. মঙ্গলকাব্য রচনার সামাজিক কারণ: মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের বৃহত্তম শাখা হল আখ্যানমূলক মঙ্গলকাব্য। মূলত খ্রিস্টীয় পঞ্চদশ শতক থেকে শুরু করে অষ্টাদশ শতক পর্যন্ত এর কালপর্ব। বাংলার বিভিন্ন অঞ্চলের বহুজ্ঞাত, অজ্ঞাত, খ্যাত ও স্বল্পখ্যাত কবি মনসামঙ্গল, চন্ডীমঙ্গল, শিবমঙ্গল (শিবায়ণ ভূমিকা কাব্য), ধর্মমঙ্গল ও রায়মঙ্গল প্রভৃতি অজস্র কাব্য রচনা করেছেন। মঙ্গলকাব্যগুলিতে নানা সাম্প্রদায়িক দেবদেবীর মাহাত্ম্যসূচক কীর্তিকলাপ বর্ণিত … Read more

পঞ্চম অধ্যায় – অনুবাদ কাব্য

১. সাধারণ আলোচনা মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যে অনুবাদ সাহিত্যের শাখাটি একটি বিশিষ্ট স্থান অধিকার করে আছে। সংস্কৃত সাহিত্যের ভাগবত, রামায়ণ ও মহাভারত অনুবাদ করে সে সময়ে বাঙালি ভূমিকা কবিরা বিশেষ কৃতিত্ব অর্জন করেছেন। যে-কোনো দেশের সাহিত্যে অনুবাদের গুরুত্ব যথেষ্ট ভিন্নতর বিষয়বস্তুর সান্নিধ্যে এসে অন্য একটি ভাষা নানা দিক থেকে শক্তি সঞ্চয় করে পরিপুষ্ট হয়ে ওঠে। এতে … Read more

চতুর্থ অধ্যায় শ্রীকৃষ্ণকীর্তন ও বৈয়ব পদাবলীর সংক্ষিপ্ত পরিচয়

এক. শ্রীকৃষ্ণকীর্তন ১. ভূমিকা: রাধাকৃষ্ণের প্রেমকাহিনি বড়ু চণ্ডীদাসের শ্রীকৃষ্ণকীর্তন, বিদ্যাপতি ও চন্ডীদাসের পদাবলিতে রাধাকৃষ্ণের প্রণয় কাহিনি রয়েছে। রাধা ও কৃয়ের প্রেমকাহিনি নিয়ে রচিত কৃয়লীলা বিষয়ক কাব্য বাঙালির এক বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক সম্পদ। কৃষ্ণলীলার কাহিনি আমরা ভাগবত ও অন্যান্য পুরাণে পাই। হালের ‘গাথা সপ্তশতী’ গ্রন্থে আমরা রাধার উল্লেখ দেখি। মোট কথা পুরাণের কৃষ্ণচরিত্র লোকজীবনের রসে সিক্ত হয়ে … Read more

তৃতীয় অধ্যায় তুর্কি বিজয় ও তার সামাজিক সংস্কৃতির পরিণাম

১. সাধারণ আলোচনা বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের প্রাচীনতম নিদর্শন চর্যাগীতি। খ্রিস্টীয় দশম শতাব্দী থেকে দ্বাদশ শতাব্দী পর্যন্ত এর রচনাকাল। চর্যার পর প্রায় আড়াইশো বছরকাল বাংলা সাহিত্যের কোনো ভূমিকা নিদর্শন পাওয়া যায়নি। দ্বাদশ শতকের শেষার্ধ থেকে চতুর্দশ শতকের প্রথমভাগ পর্যন্ত বাংলা সাহিত্য নিষ্ফলা ছিল। তাই সাহিত্যের ঐতিহাসিকগণ এই সময়টাকে বাংলা সাহিত্যের ‘অন্ধকার যুগ’ নামে অভিহিত করেছেন। … Read more

দ্বিতীয় অধ্যায় – বাংলা সাহিত্যের আদি যুগ: চর্যাগীতি পদাবলী

১. সাধারণ আলোচনা ভূমিকা বাংলা সাহিত্যের আদিযুগের সার্থকতম নিদর্শন চর্যাগীতি। চর্যাগীতি থেকেই বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস শুরু। এর মধ্যে দশম শতাব্দী থেকে দ্বাদশ শতাব্দী পর্যন্ত বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের পরিচয় মেলে। মহামহোপাধ্যায় পণ্ডিত হরপ্রসাদ শাস্ত্রী মহাশয় নেপাল রাজদরবার থেকে ১৯০৭ সালে অনেকগুলি পুঁথির সঙ্গে ‘চর্যাচর্যবিনিশ্চয়’ পুঁথিটি আবিষ্কার করেন। চর্যা আবিষ্কৃত হওয়ার পূর্বে শূন্যপুরাণ, ডাক ও খনার … Read more

উপক্রম – বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস পরিচয়

ভাষা অবতীর্ণ হয়েছে মানুষের সঙ্গে মেলবার উদ্দেশ্যে। সাধারণত সে মিলন নিকটের এবং প্রত্যহের। সাহিত্য এসেছে মানুষের মনকে সকল কালের সকল দেশের মনের সঙ্গে মুখোমুখি করবার কাজে। প্রাকৃত জগৎ সকল কালের সকল স্থানের সকল তথ্য নিয়ে, সাহিত্য জগৎ সকল কালের সকল দেশের সকল মানুষের কল্পনাপ্রবণ মন নিয়ে। এই জগৎ সৃষ্টিতে যে সকল বড়ো বড়ো রূপকার আপন … Read more