- প্রয়োগ ক্ষেত্র / বা কাহাদের প্রতি প্রযোজ্য হবে?
জন্মসুত্রে যারা হিন্দুধর্মে দীক্ষিত,
হিন্দু পিতা/মাতার বৈধ / অবধৈ সন্তান।
হিন্দু মাতার অবৈধ সন্তান।
হিন্দু বিবেচনায় / আশ্রয়ে লালিত পালিত।
বৌদ্ধ, জৈন, শিখ সম্রদায়।
ব্রাহ্মণ, ব্রহ্ম সম্প্রদায়, আর্যসমাজ, অন্যান্য সাম্প্রদায়িক হিন্দু সম্প্রদায়।
আইনগতভাবে হিন্দু আইন দুটি ভাবে প্রয়োগ হয়।
(১) মিতক্ষরা (Mita Kshara) (২) দায়ভাগা (Dayabhaga)
প্রথমটি প্রয়োগক্ষেত্র বাংলা ব্যতীত, প্রয়োগকালে কিছু বিশেষ বিধি নিষেধকে
অগ্রাধিকার দেওয়া হয়।
পক্ষান্তরে, দায়ভাগা সম্প্রদায় বেশি আছে বাংলায়। সাধারণভঃস্ব উত্তরাধিকার সক্রান্ত আইন ও যৌথ পারিবারিক ঘটনা প্রভৃতি বিষয় নিয়ে ভিন্ন মত এর প্রাধান্য লক্ষ্য করা যায়।
৮ নং ধারা অনুযায়ী হিন্দু বিবাহ রেজিস্ট্রকরণ বাধ্যতামূলক হয়েছে।
৭নং ধারা অনুযায়ী হিন্দু বিবাহের উৎসবকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।
১২নং ধারায় বিবাহ বাতিলের কথা বলা হয়েছে।
স্বামী-স্ত্রীর যে কোন একজনের যৌন জীবন যাপনের অক্ষমতার বিবাহ বাতিল হতে
পারে।
যদি অপর পক্ষের কোন যৌন রোগ থাক। ৫নং ধারায় এরূপ বলা হয়েছে।
বিবাহের সময় অপরের দ্বারা গর্ভবতী হলে।
ভরণ পোষণের ব্যাপারে: আর্থিক সামর্থ থাকা সত্বেও যদি পিতা-মাতা স্ত্রী-পুর কন্যার ভরণ পোষণ বা তাদের দায়িত্ব নিতে অস্বীকার করে তবে আদালতে নাশিল জানো
যায়। কি কি হলে বিবাহ-বিচ্ছেদ হয়: যদি বিবাহের পর স্বামী-স্ত্রী রূপে জীবন যাপন না করে বা একবছর স্বামী সঙ্গে থেকে বিচ্ছিন থাকে।
মানসিক ভারসামন্যতার অভাবে যদি যৌন জীবন যাপনে মত না দেয়।
যদি সন্তান উৎপাদনের ক্ষেত্রে অক্ষম থাকে।
স্বামী-স্ত্রী উভয়েই যদি উন্মাদ বা মৃগী রোগী হয়।
প্রতারণার জন্য সাজা: কোন ব্যক্তি যদি বিবাহের প্রতিশ্রুতি দিয়ে কোন মহিলার সঙ্গে সহবাসে লিপ্ত হয়ে থাকে অস্বীকার করে তবে ভারতীয় দন্ডবিধির ৪৩নং ধারা অনুসারে সেই ব্যক্তির ১০বছর জেল বা ১লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।
যদি স্বামী স্ত্রী থাকাকালীন আবার বিয়ে করেন এবং স্ত্রী স্বামী থাকাকালীন অপর পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক রাখে তবে তা আইন সিদ্ধ হবে না। তাদের ৭বছর কারাদণ্ড ও অর্থদন্ড হতে পারে।
তবে যদি ৭ বছর কোন স্ত্রীর তার স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ না থাকে এবং স্বামীর স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ না থাকে তবে তারা আবার বিবাহ করলে তা দন্ডীর নয়।
নাবালিকা অপহরণ: ভারতীয় দন্ড বিধির ৩৬নং ধারা অনুযায়ী কোন নাবালিকা মেয়েকে চালাকি করে, প্রলোভন দেখিয়ে বা জোর করে স্বামীর কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করালে কোন প্রমান ছাড়াই আদালত দন্ড দিতে পারে। আবার ১৬বছরের কম বয়সের মেয়ে যদি কারো প্ররোচনায় সহবাসে মত দেয় বা কোন ব্যক্তির সঙ্গে পালিয়ে যায়, তবে সেই ব্যক্তিকে ও আদালত দন্ড দিতে পারে।
বিবাহ সংক্রান্ত দন্ড বিধি ১৭নং ধারা: ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৭নং ধারায় বলা হয়েছে যে, যদি কেউ এক স্ত্রী বর্তমান থাকে আবার বিয়ে করে, তবে তার ৭বছরের কারাদন্ড হতে পারে।
ভরণ পোষনের খরচ ২৫নং ধারা: ২৪নং ধারায় বলা হয়েছে ভরণ পোষণের
জন্য মামলা চলা কালীন মামলা খরচের জন্য স্বামী স্ত্রী আবেদন করতে পারেন। উভয়ের আয়ের কথা বিবেচনা করে ভরণপোষণ হ্রাস বৃদ্ধি হতে পারে। তবে ২৫নং ধারায় আদালত
ঐ অর্থ মোট আয়ের এক পঞ্চমাংশ করতে পারেন।
সন্তানাদি রক্ষণাবেক্ষণ ২৬নং ধারা: ২৬নং ধারায় বলা হয়েছে নাবালক/বালিকা যার কাছে থাকার ইচ্ছা প্রকাশ করে তার কাছে থাকবে। তবে ভরণ পোষণের দায়িত্ব উপার্জনশীলকেই নিতে হবে।