আইন কি?

অভিধানে (বিদেশি/দেশী) আইনের যা সংজ্ঞা দেওয়া আছে তাকে বাংলা পরিভাষাতে বলা চলে আইন। আইন মানে এমন এক System র মধ্যে থাকা, তাকে মান্য করা, প্রয়োজনে তার সাহায্য নেওয়া চলবে। যদি দেখা যায় যে সমাজবদ্ধ মানুষ স্বেচ্ছাচারিতার ফলে যাবতীয় সমাজজীবনের গতি স্তব্ধ হচ্ছে/হতে পারে / বা অতীতে হয়েছে।

আরও ছোট্ট করে বললে, বলা যায়, সাধারণ ধারণাকে একটা Sytem এর মাধ্যমে সম্মান করা প্রয়োজন, তাকে তাঁর সম্মানার্থে প্রয়োগ করা হল আইন। আমাদের স্বার্থে এটা প্রয়োজন।

আইনের উৎস সম্পর্কে ভারতীয় মতে “মনু”- র ভুমিকা প্রধান। প্রাথমিক ধ্যান ধারনা এর সৃষ্টি কিন্তু “মনুর” দর্শন মতে পরবর্তী কালে যুগ বিবর্তন এর সঙ্গে সঙ্গে আইনের সৃষ্টি ও তার বিভিন্ন প্রতিফলন পরবর্তী কাল অনুযায়ী ঘটে। সে ক্ষেত্রে যাবতীয় তৎকালীন ভারতীয় বিভিন্ন রাজশক্তির প্রভাব লক্ষ্য করা যায়।

খুব ভালভাবে আইনের মার্জিত রুপটির প্রকাশ ঘটে। ব্রিটিশ রাজশক্তির ভারত শাসনে। বলা প্রয়োজন, এখনও ভারতীয় সম্পত্তি আইন, প্রমান আইন, প্রত্যক্ষভাবে রানি প্রশাসনের প্রভাব লক্ষ্য করা যায়, খুব সঠিক ভাবে Property Law- 1882, Evidence Act 1872 এই ভাবেই উল্লেখ করা হয়।

এখন ভারতে যে আইন বলবৎ আছে তাকে সাধারণভাবে দুটি প্রধানভাগে ভাগ করা যায়। (১) দেওয়ানী (২) ফৌজদারী মানে ইংরেজিতে Civil (দেওয়ানী) Criminal (ফৌজদারী)।

আইনের মূল কথা হচ্ছে “অভিযোগ”। মানে আমি বা আমরা বা যে কেউ (জনস্বার্থে মামলার ভিত্তি) স্বাভাবিক সমীকরণে যা হওয়া উচিত তার ব্যতিক্রম হচ্ছে। আমরা / আমাদের / জনস্বার্থের স্বার্থ সুরক্ষিত নয়, তার প্রতিবিধানদাতা যে নিরপেক্ষ ভাবে দাড়ি পাল্লা মানে আইনের বিধান এর দাড়িপাল্লায় সমান ভাবে বিচার করে রায় দেবে।

অভিযোগকারী ও প্রতিবাদী পক্ষের, যাবতীয় বক্তব্য স্বীকৃত আইন জানা লোক, মানে যাদের আইনজীবী বলে তারা বিচারক এর সামনে পেশ করবে, আইনের তুলাদন্ডে যাবতীয় বক্তব্য বিচার করে রায় দান হবে এই হচ্ছে ব্যাপারটা।

এর সঙ্গে একটা কথা সব সময় মনে রাখবেন। কথাটা-র মূল কিন্তু ব্রিটিশ আইন-যে * একশো জন দোষী ব্যক্তি সাঁজা ফাঁকি দিক কিন্তু একজন নির্দোষ ব্যক্তি যেন সাঁজা না পায়/পেয়ে থাকে’।

মানে, বুঝতেই পারছেন, কোন অবস্থাতেই যেন অন্যায্য বিচার এর ফলে নির্দোষ ব্যক্তির স্বার্থ হানী না হয়

এবার আমরা একটু ভারতীয় সংবিধান নিয়ে আলোচনা করে আইনের অন্যান্য মিছু গুলিতে নজর দেব।

ভারতীয় সংবিধান এর মধ্যেই কিন্তু আছে ভারতীয় বলবৎ আইনগুলির উৎস এ। নিয়ন্ত্রণ এবং সংবিধান অনুমোদন অনুযায়ী আইন ব্যবস্থাগুলি প্রয়োজন অনুযায়ী অনল বদল করা সম্ভব।

এখানে বলা চলে একটা ছোট্ট আলোচনা।

‘ক’ বাবু সরকারী অফিসের করনিক, অবসর নিয়েছেন, কিন্তু দীর্ঘদিন এদিক ওদিত করেও কিছুতেই পেনশন পাচ্ছেন না, উপায় না পেয়ে তিনি আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করলেন।

শেষমেষ তিনি আদালতের হস্তক্ষেপে পেনশন পেলেন, কিভাবে?

‘ক’ বাবু সংবিধানের বিধান ভঙ্গ হয়েছে এই মর্মে আদালতে আর্জি জানলেন।

অর্থাৎ নাগরিক এর নায্য পাওনা ও কর্তব্য কি, তাতে অবিচার হলে শেষমেষ কি হবে তা উপরের ঘটনায় বোঝা গেল।